বাউফলে উপবৃত্তি তুলতে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি

 বাউফলে উপবৃত্তি তুলতে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি

           
দেলোয়ার হোসেন,বাউফল প্রতিনিধিঃ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া সরকারি উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা  ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন উপজেলার সামনে  মোবাইল দোকানদার আবুল বশারের দোকানে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করতে ভিড় করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। অধিকাংশ শিক্ষার্থী টাকা তুলতে গিয়ে অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ।
অভিভাবকদের অভিযোগ,টাকা উত্তোলনের জন্য গোপন পিন দিলে ‘ডিড নট ম্যাচ’ (পিনটি সঠিক নয় লেখা আছে)। আগে ব্যবহারিত গোপন পিন অটো পরিবর্তন হয়ে গেছে। নতুন গোপন পিন সেট করতে চাইলে তাও কাজ হচ্ছেনা। জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েও সংযোগ পাওয়া যাচ্ছেনা । আবার দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার কারনে অনেকে পির নাম্বার ভুলে গেছেন। এতেও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। নগদের কাষ্টমার কেয়ারের গ্রাহক সেবা ১৬১৬৭ সাম্বারে কল দিয়েও লাইন পাওয়া যাচ্ছে না। নগদের কাষ্টমার কেয়ারের গ্রাহক সেবা উপজেলায় না থাকায়ও অনেকটা সমস্যার পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের ।
আরিফ নামে এক শিক্ষক বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি নগদের মাধ্যমে দেওয়ার কারনে এখন অভিভাবকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের সম্মুক্ষীন হতে হচ্ছে শিক্ষকদের। তাদের কাছে অভিভাবকরা বলে এত যন্তনা ও কষ্ট না দিয়ে টাকা না দিলেই তো পারতো,তখন শিক্ষকরা কোন জবাব দিতে পারছে না।
কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, নগদের কাস্টমার কেয়ারের গ্রাহক সেবা ১৬১৬৭  নাম্বারে কল দিয়ে লাইন পাওয়া যায় না। বাড়ি থেকে উপজেলা সদরে আসতে তাদের  দৈনিক ৪০-৫০ টাকা খরচ হয়।
নগদ এজেন্টের দোকানদার আবুল বশার বলেন, প্রতিদিন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তার দোকানে ভিড় করছেন  উপবৃত্তির টাকার জন্য। কিšুÍ নগদের কাষ্টমার কেয়ারের গ্রাহক সেবার সমস্যার জন্য টাকা তুলতে পারছেনা ।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলার ২৩৯ টি বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীরা সরকারি উপবৃত্তি টাকা পেয়ে থাকেন । ২০২০-২১ অর্থবছরের উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও জামা,জুতা এবং ব্যাগ কেনার ১হাজার টাকা অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের দেওয়া তাদের অভিভাবকের মোবাইল নাম্বারে দেওয়া হয়েছে ।
এবিষয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত দেবাসীষ ঘোষ বলেন,এধরনের অভিযোগ তারা পেয়েছেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে ।